আমাদের অনেকের কাছে একটি নতুন গাড়ি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয় । সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের একমাত্র উপায় হলো গাড়ি সম্পর্কে জানা । বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে অন্যতম বিবেচ্য বিষয় হলো গাড়ির পরিমাপের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানা । একটি গাড়ির "দৈর্ঘ্য", "প্রস্থ" এবং "উচ্চতা" ছাড়াও আরো কিছু পরিমাপের বিষয় রয়েছে যা গাড়ি কেনার সময় অবশ্যই বিবেচনায় আনা উচিত ।
গাড়ির সামনের চাকার মধ্যবর্তী স্থান হতে পেছনের চাকার মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত দূরত্বকে হুইলবেস বলা হয় । হুইলবেস একটি গাড়ির ভেতরের দৈর্ঘ্য নির্ধারন করে । অর্থাৎ যে গাড়ির হুইলবেস যত বেশী, তার ভেতরের দৈর্ঘ্য তত বেশী এবং স্বাভাবিক ভাবে ওই গাড়ির লেগরুমের পরিমান বেশী হবে ।
গাড়ি কেনার সময় ড্রাইভিং সিটে এবং পেছনের সিটে বসে দেখুন আপনি ঠিক মত বসতে পারছেন কিনা, আপনার হাইট যদি বেশী হয় তবে কিছু কিছু গাড়িতে আপনার বসার সমস্যা হতে পারে, গাড়ি কেনার সময় অবশ্যই এই বিষয় টি খেয়াল রাখা উচিত ।
গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স হলো গাড়ির নিচের সবচাইতে নিচের অংশ থেকে ভূমির দূরত্ব ।
আপনাকে যদি উঁচু নিচু বা ভাঙা রাস্তায় বেশি চলাচল করতে হয় তবে অধিক গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের গাড়ি আপনার জন্য ভালো হবে । গাড়িতে গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স বেশি থাকলে উঁচু নিচু বা ভাঙা রাস্তায় গাড়ির নিচের অংশ রাস্তাকে স্পর্শ করবে না । সাধারনত এস.ইউ.ভি. গাড়ি গুলোতে গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স বেশি থাকে এবং এসব গাড়ি দিয়ে স্বাচ্ছন্দে আপনি উঁচু নিচু বা ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে পারবেন ।
তবে আপনি যদি বেশিরভাগ সময়, শহরের ভেতর মসৃণ রাস্তায় গাড়ি চালান, তবে আপনার জন্য কম গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এর একটি গাড়ি যথেষ্ট হবে । সেডান,ওয়াগন ইত্যাদি গাড়ি গুলোর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এস.ইউ.ভি. থেকে কম । তবে এর মানে এই না যে, আপনি কম গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এর একটি গাড়ি নিয়ে উঁচু নিচু বা ভাঙা রাস্তায় যেতে পারবেন না, ওই সব রাস্তায় চলাচলে আপনাকে কিছুটা সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে ।